ভারতের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হলো স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া(SBI)। দেশবাসীর সুবিধার্থে SBI স্বল্প বিনিয়োগে একাধিক ধরনের ডিপোজিট স্কিম চালু করেছে। SBI এর এইরকমই একটি ডিপোজিট স্কিম রয়েছে যেখানে আপনি মাত্র ২,৫০০ টাকা জমা রেখে সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সুদ লাভ করতে পারবেন। SBI এর পক্ষ থেকে এই স্কিমটি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাহায্য করার জন্য চালু করা হয়েছে। যেমন ধরুন কন্যা সন্তানের বিবাহ, অবসর গ্ৰহন, শিশুদের লেখাপড়ার জন্য। এই স্কিমের আওতায় অর্থ সঞ্চয় করে রাখলে আপনি তিন বছরের মেয়াদ শেষে যথাক্রমে ১ লক্ষ, ৩ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে পারবেন।
SBI এর এই দুর্দান্ত স্কিমটির নাম হল হর ঘর লাখপতি স্কিম। এই স্কিমের মাধ্যমে মেয়াদ শেষে ১ লক্ষ টাকা/৩ লক্ষ টাকা/৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতি মাসে নিয়ম করে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা এই স্কিমের আওতায় সঞ্চয় করে রাখতে হবে। সেই সঞ্চিত অর্থের উপর ভিত্তি করে আপনি যে সুদ পাবেন তা আপনার এই স্কিমের আওতায় সঞ্চয় করে রাখা অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
হর ঘর লাখপতি স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে SBI তে যে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে তার জন্য আপনি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট দুটোই খুলতে পারেন। শুধু তাই নয় যে সকল সন্তানদের বয়স ১৮ বছরের নীচে সেই সকল নাবালক বা নাবালিকা সন্তানদের অভিভাবক হিসেবে তাদের মা বাবারা তাদের নিজেদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এমনকি ১০ বছর বা তার উর্দ্ধের নাবালক বা নাবালিকা যারা অন্তত পক্ষে নিজের সই করতে সক্ষম তারাও এই স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
কারা কত শতাংশ হারে সুদ পাবেন?
যে সকল সাধারণ শ্রেণীর গ্ৰাহকেরা এই হর ঘর লাখপতি স্কিমের আওতায় অর্থ জমা রাখবেন তাদেরকে ৩ থেকে ৪ বছরের মেয়াদ শেষে ৬.৭৫ শতাংশ হারে এবং ৫ থেকে ১০ বছরের মেয়াদ শেষে ৬.৫০ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করবে SBI।
অন্যদিকে, যে সকল প্রবীণ শ্রেণীর গ্ৰাহকেরা এই হর ঘর লাখপতি স্কিমের আওতায় অর্থ জমা রাখবেন তাদেরকে ৩ থেকে ৪ বছরের মেয়াদ শেষে ৭.২৫ শতাংশ হারে এবং ৫ থেকে ১০ বছরের মেয়াদ শেষে ৭.০০ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করবে SBI।
১ লক্ষ, ৩ লক্ষ বা ৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে প্রতি মাসে কত টাকা করে জমা রাখতে হবে?
হর ঘর লাখপতি স্কিমের আওতায় ৩ বছরের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করে মেয়াদ শেষে ১ লক্ষ, ৩ লক্ষ বা ৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে আপনাকে প্রত্যেক পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি মাসে মাসে আলাদা আলাদা পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আলাদা আলাদা পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে তা নীচে বর্ননা করা হয়েছে। যেমন-
১ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে:-
৩ বছর পর মেয়াদ শেষে ১ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে সাধারণ শ্রেণীর গ্ৰাহকদের প্রতি মাসে মাসে ২,৫০২ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
৩ বছর পর মেয়াদ শেষে ১ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে প্রবীণ শ্রেণীর গ্ৰাহকদের প্রতি মাসে মাসে ২,৪৮২ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
৩ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে:-
৩ বছর পর মেয়াদ শেষে ৩ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে সাধারণ শ্রেণীর গ্ৰাহকদের প্রতি মাসে মাসে ৭,৫০৩ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
৩ বছর পর মেয়াদ শেষে ৩ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে প্রবীণ শ্রেণীর গ্ৰাহকদের প্রতি মাসে মাসে ৭,৪৪৫ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে:-
৩ বছর পর মেয়াদ শেষে ৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে সাধারণ শ্রেণীর গ্ৰাহকদের প্রতি মাসে মাসে ১২,৫০৬ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
৩ বছর পর মেয়াদ শেষে ৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে হলে প্রবীণ শ্রেণীর গ্ৰাহকদের প্রতি মাসে মাসে ১২,৪০৮ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (SBI) এর এই হর ঘর লাখপতি স্কিমকে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষুদ্র এবং নিয়মিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার একটি যথার্থ উপায় বলে চিহ্নিত করেছেন। আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের একসাথে অনেক পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই তারা অল্প অল্প করে অর্থ প্রতি মাসে সঞ্চয় করে রাখতে চান। তাদের ক্ষেত্রে SBI এর এই স্কিমটি হলো একেবারে যথোপযুক্ত। এই স্কিমের আওতায় তারা নিজেদের সুযোগ সুবিধা মতো অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি এই ধরনের সাধারণ নাগরিকদের একজন হয়ে থাকেন এবং SBI এর এই হর ঘর লাখপতি স্কিমের আওতায় এখনো পর্যন্ত অর্থ বিনিয়োগ করে না থাকেন তাহলে শীঘ্রই আপনার নিকটবর্তী SBI ব্রাঞ্চে গিয়ে এই স্কিমের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে সবকিছু জেনে নিন। তারপর একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এই স্কিমের আওতায় নিজের সুবিধা মতো অর্থ সঞ্চয় করে রেখে উচ্চহারে সুদের সুবিধা লাভ করুন।
আরোও পড়ুন: CLICK HERE

Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.